শীতের তীব্রতা বাড়ায় চট্টগ্রামের বাসিন্দারা কাবু হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে। সব বয়সীরা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বিশেষ করে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। নগরের বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যেসব শিশু বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসছে তাদের বেশিরভাগই শ্বাসতন্ত্রের নানা ধরনের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বাচ্চাদের অ্যাজমাও বেড়ে গেছে।
সর্দি, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে নগরের দামপাড়া এলাকার এক বছরের সাজনকে সপ্তাহখানেক আগে ভর্তি করানো হয় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ৪ দিন পর বাসায় ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি বলে জানিয়েছেন তার অভিবাবকেরা।
চিকিৎসকেরা বলছেন, শীতের এই সময়টায় শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শিশুদের ঠিকমতো যত্ন নিলে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ালে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি জটিলও হয়ে যেতে পারে। তাই শিশুদের জ্বর সর্দি হলেও কোনোভাবে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জেরিন মাহফুজ বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনে শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতে নিউমোনিয়া রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ সময়ে শিশুদের সুরক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে। সবগুলো টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, চট্টগ্রামের সব উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ঠান্ডাজনিত রোগের বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের পর্যাপ্ত মজুত রাখতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।