কক্সবাজারে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া টাংকি পাহাড় এলাকায় ওসমান (৩৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করেছে বন্ধু আদলে দূর্বৃত্তরা। নিহত ওসমান মোহাজের পাড়া টাংকি পাহাড় এলাকার মৃত নুর আহমেদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য ছৈয়দ নুর (২২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ছৈয়দ নুর একই এলাকার মো. বেলালের ছেলে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মোহাজেরপাড়ার টাংকিপাহাড় এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়িতে একা বসবাস করতেন ফল ব্যবসায়ী ওসমান। সেখানে দরজা-জানালা কিছুই নেই। প্রায় সময় রাতে ওই বাড়ির ছাদের উপর বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমাতেন।
বুধবার রাত ১১ টার দিকেও অন্যান্য সময়ের মতো বুধবার রাতে সুন্দর, ইউছুপ এবং ওসমানসহ ৪/৫ জন বন্ধু মিলে তার বাড়ি ছাদে আড্ডা হাসি ঠাট্টা করে। সেখানে তারা গভীর রাত পর্যন্ত ছিল। বুধবার রাতের কোন একসময় তাকে রুমেই হত্যা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওসমানের কক্ষে গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পরে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ও সিআইডি ক্রাইম সিনের পুলিশ দল ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিজ বাসা থেকে ওসমানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে কি কারণে, কখন, কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখন বলা যাচ্ছে না।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে তার প্রতিবেশি বন্ধুরা জড়িত। আবদুর রহমান নামের তার এক বন্ধুসহ অন্যান্য বন্ধুরা এই খুনের সাথে জড়িত বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে ওসমান স্বপরিবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এরপরে কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া টাংকি পাহাড়ে বসবাস শুরু করেন। ছোটবেলা থেকে ওসমান জড়িয়ে পড়েন চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। তার মা ও বাবা মৃত্যুর পর ছিনতাই ছেড়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকায় ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।