চার জলদস্যু গ্রেপ্তার

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৪ জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। ২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত সাড়ে ১০ টার সময় মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকা থেকে সোনাদিয়া যাওয়ার সময় ওই ৪ জলদস্যুকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা।

আটককৃত জলদস্যুরা মহেশখালীর সোনাদিয়া, পেকুয়া ও বাঁশখালীর বাসিন্দা বলে জানা যায়।

আটককৃতরা হলেন সোনাদিয়া পুর্ব পাড়ার জাকের হোসেনের পুত্র মো. ইসহাক, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দুল করিমের পুত্র মোহাম্মদ সোহেল, বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টেকপাড়ার আবু তাহেরের পুত্র বাহার উদ্দিন, একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উমেদ আলী পাড়ার মো. খালেদের পুত্র রেজাউল করিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুতুবজোম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য একরাম মিয়া কালামিয়া বাজার থেকে তাজিয়াকাটাস্থ নিজের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পুর্ব পরিচিত চিহ্নিত ৪ ডাকাত সিএনজি যোগে ঘটিভাঙ্গার দিকে যেতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করেন।

মহেশখালী থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পুলিশের সিডিএমএস যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় মো. ইছহাকের বিরুদ্ধে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে ওই মামলাটি দায়ের হয়। অপরদিকে ২০১৩ সালে সরকারি কর্মচারীকে বাধা প্রদান এবং মারধরের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয় ইছহাকের বিরুদ্ধে।

তাছাড়া বাহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা এবং ২০২১ সালে মারধরের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে বলে জানা যায়।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে চার ডাকাতকে আটক করার সময় ঘটনাস্থলে এলাকার প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার আরো সত্যতা সাপেক্ষে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা নেওয়া হবে। আটককৃতরা জেলে হিসেবে মাছ আহরণের আড়ালে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল।’

আরও পড়ুন