এবার পালংখালী সীমান্তে ভারি গুলির শব্দে আতঙ্কে স্থানীয়রা

নাইংক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুতে টানা ১ মাস ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গুলাগুলি ও মর্টাল শেলের শব্দে স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।এর রেশ না কাটতে এবার নতুন করে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে ওঠে পালংখালী এলাকার বাসীন্দারা।
এ ব্যাপারে ফোনে জানতে চাইলে উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বলেন, ‘ঘুমধুম সীমান্তের পর নতুন করে আমার ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে সকালে মিয়ানমারের ওপারে ভারী গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে আমার এক ইউপি সদস্য ফোন করে জানান।
পরে আমি বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফোনে অবগত করেছি।
পালংখালী আঞ্জুমান সীমান্তের বাসিন্দা শামসুল আলম  জানান ‘তুমব্রু সীমান্তে গুলাগুলির খবর টিভি ও পত্রিকায় দেখেছি তবে আজ সকালে আমাদের সীমান্ত এলাকা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে ভারি গোলাগুলির শব্দ শোনেছি। এই মুহূর্তে আমাদের এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তাই আমরাও ভয়ে রয়েছি। তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা ২টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম এলাকায় দুটি গোলা পড়ে এবং ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে। তবে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাইন বিস্ফোরণ ও গুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতেই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় তৈরি হওয়া বৈরী পরিস্থিতিকে কারণ উল্লেখ করে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র উখিয়ায় স্থানান্তর করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। পর দিন কুতুপালং কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে প্রথমবার পরীক্ষা দেয় সীমান্তের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন