পেকুয়ায় এক বৃদ্ধের রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জাফর আলম (৯০) নামের এক বৃদ্ধের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলারজুম এলাকায় এ ঘটনা। সে ওই এলাকার মৃত নজির আহমেদের পুত্র এবং সাবেক মেম্বার বনরাজাখ্যাত জাহাঙ্গীর আলমের পিতা। তিনি ওই এলাকার সালমা ও নেজাম হত্যাসহ বেশ কয়েকটি ডাকাতি মামলার আসামী।
নিহতের স্ত্রী জোস্ন্যা বেগম বলেন, আমার স্বামী জাফর আলম চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গতিরোধ করে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমেদের পুত্র আলমগীর, জমির, মুজাহের আলমের পুত্র মিয়া, বাদশা, সালাহউদ্দিন, শফিউল আলম, রহিমদাদ, রহিমদাদের পুত্র মুছাসহ আরো কয়েজন সন্ত্রাসী ছনখোলারজুম এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে তাকে খুন করে।
পরে ঘাতকরা উল্লাস করতে করতে নির্জন পাহাড়ের দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের স্বজনদের দাবী পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা জাফর আলমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ইউপির সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছোট ভাই আলমগীর কক্সবাজার কারাগারে রয়েছে। কয়েক মাস আগে তাদের পিতা জাফর আলম একই কারাগার থেকে জামিনে বের হন। পাহাড়িয়াখালী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর আলম গংদের বিরোধ চলছে। বনবিভাগের সংরক্ষিত জায়গা ও বালু মহালের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ দীর্ঘ বছর ধরে। দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক রক্তপাত সংঘটিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। তিনি জানায়,প্রাথমিকভাবে জেনেছি পুর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।