ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফে চলছে সাঁড়াশি অভিযান

মাত্র সপ্তাপখানেক পর উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসায় বেড়েছে মানুষের অবাধ চলাফেরা। শপিংমল গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বেড়েছে মানুষের চলাচল। আর এ সুযোগেই তৎপরতা শুরু করেছে চিহ্নিত ও মৌসুমী অপরাধীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা গেছে।

কক্সবাজার টেকনাফ মেরিনড্রাইভ, শামলাপুর-হোয়াইক্যং এ পাহাড়ী ঢালায় ইতি মধ্যে বেশ কয়েকবার ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গেছে অভিযোগ স্থানীয়দের। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ডাকাত ও আটক হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে। পাশাপাশি বেড়েছে বখাটে ও কিশোরগ্যাংয়ের অত্যাচার।এরই মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে জাল টাকার চক্রের সদস্যরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এক কথায় ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এলাকার পরিবেশকে ভয়ঙ্কর করে তুলছে তারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভোর কিংবা গভীর রাতে ঘটছে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা। বর্ষার দিন হওয়ায় সহজেই অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বেশির ভাগই কিশোর, উঠতি তরুণ ও ছোট ছোট গাড়িচালক। কিছু ভুক্তভোগী মামলা করেন, অনেকেই করেন না।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে অপরাধ চক্র বেড়ে যায়। তারা সুযোহে টার্গেককৃতদের গতিরোধ করে টাকা পয়সা, বিভিন্ন আসবাব পত্র ছিনিয়ে নেয়। পশুর হাটে কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের সময় ক্রেতা বিক্রেতা সকলকে ‘জাল টাকা’র বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। হাটের আয়োজক, ইরাজাদার এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে মানুষকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালাতে হবে। এবং অপরাধীরা যাতে ভয় পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাফিজুর রহমান জানান, ঈদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। কোন অবস্থাতেই অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

মাদক অস্ত্র কার্তুজ নগদ টাকা মোটরসাইকেল উদ্ধার , টেকনাফে নারী-নির্যাতন মামলার পলাতক আসামীসহ আটক-৮
টেকনাফ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে নারী নির্যাতন মামলার পলাতক আসামী ও মাদক কারবারীসহ ৮ জনকে আটক করেছে। এসময় আটককৃত ৪ জনের কাছ থেকে ২০ হাজার ইয়াবা, একটি অস্ত্র ৩টি কার্তুজ ও নগদ ৭২ হাজার ৫শ টাকা এবং একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সোমবার (৪জুলাই) ভোররাতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই যায়েদ হাসানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ পূর্ব মহেষখালীয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২হাজার ইয়াবাসহ জামাল হোসাইন(২৭) নামে এক যুবককে আটক করে। সে ই এলাকার নুর মোহাম্মদ এর ছেলে।

একইদিন অপর একটি অভিযানে কুতুবদিয়াপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে নারী নির্যাতন মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ৩ আসামীকে আটক করে। তারা হচ্ছে, মৃত আবদুন নবীর পুত্র আবদু শুক্কুর ও আবদু শুক্কুরের দু’পুত্র হারুন ফারুক কে আটক করে।

এছাড়া এসআই রফিকুল ইসলাম রাফি নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার হ্নীলা ইউপির ৩নং ওয়ার্ড ফুলের ডেইল এলাকার অভিযান পরিচালনা করে নলা অস্ত্র, ৩টি কার্তুজ, ১৮ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ৬০ হাজার ৫’শ টাকাসহ লিয়াকত আলী (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে। সে ওই এলাকার কবির আহমদ এর ছেলে। ধৃত আসামির বসতঘরের স্বয়ং কক্ষের বিশেষ কায়দায় কাপড় দ্বারা পেচানো অবস্থায় অস্ত্র, কার্তুজ, ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ তাকে আটক করা হয়।

৩জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাবরাং মুন্ডার ডেইল ৩ রাস্তার মোড়ে মো: আমিনের মুদির দোকানের সামনে হতে শাহপরীর দ্বীপের ৩ মাদক কারবারীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন শাহপরীরদ্বীপ ডাংগার পাড়ার আবদুল্লাহ’র পুত্র আবদুল মোতালেব(২৭), করিম উল্লাহর পুত্র ওসমান গণি(২০) ও হাফেজ আহমদের পুত্র ওমর ফারুক(২০)। তাদের কাছ থেকে ১২ক্যান বিয়ার, ১টি মোটর সাইকেল ও ১২ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাফিজুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।