উখিয়ায় বাজার হলো শুরু, মিলছে নানা জাতের গরু

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়ায় কোরবানির জন্য ২৩ হাজার ২৯৫টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অসীম বরন সেন। কোরবানির চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর সংখ্যা বেশি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২৮৯ টি খামারে ২৩ হাজার ২৯৫টি গবাদিপশু লালন পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিক্রয় করা হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। ফলে, কোরবানির জন্য কোনোরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই।

ভালুকিয়া মাতবর পাড়ার খামারিরা সুলতান মাহমুদ আরিফ বলেন, কোরববারি জন্য আমার খামারে ছোট-বড় ২শ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু হয়েছে। অনেকে গরু পছন্দ করে বুকিং দিচ্ছে।

উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সুলতানা আহমেদ বলেন, আমার খামারে সিদ্ধি, শাহীওয়াল, বার্মা ও দেশী জাতের ২১টি গরু রয়েছে। আমি গরুর ছবি ও ভিডিও সহ অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছি। সেখানে অনেক সাড়া পাচ্ছি৷

রাজাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা গ্রামের ওসমান বলেন, প্রতিবছর আমরা স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর হাটে গরু নিয়ে যাই এবং সেখানে দাম দর যাচাই-বাছাই করি। তারপর বাজার বুঝে বিক্রয় করি।

উখিয়া গরু বাজারের পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ইতিমধ্যে উখিয়া দারোগা বাজারের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। এই বাজারে নিসন্দেহে সকাল থেকে রাত ১২ পর্যন্ত গবাদিপশু কেনা-বেচা করতে পারবে।

উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিটি গবাদিপশুর হাট বাজারে ভ্রাম্যমান ৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করবে। কোনো গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে৷

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, এবছর কোরবানির জন্য উপজেলায় ২৩ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত আছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে পশু গুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং খামারীদের পশু বিক্রয়ের সুবিধার্থে অনলাইনে প্রচার চালানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, উখিয়াতে ৩টি স্থানীয় গরুর বাজার রয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কয়েকটি অস্থায়ী গরু বাজার বসানো হবে৷ তবে সড়কে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন কোনো অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো অস্থায়ী পশুর হাট বসালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।