মিরসরাইয়ে শিবিরের হামলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ২নেতা আহত, আটক-১

মিরসরাইয়ে শিবিরের মিছিল থেকে হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আনিছুর রহমান রিফাত ও যুবলীগ নেতা ফেরদৌস খান আহত হয়েছে। এসময় স্থানীয়রা হামলাকারীদের একজন আসিবুল হাসানকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। সে উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার ঠাকুরদীঘি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতা ফেরদৌস খান দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনিছুর রহমান রিফাত একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আনিছের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পুলিশের হাতে আটক শিবির কর্মীকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবিরের পক্ষ থেকে সাধারণ ছাত্র হিসেবে অবিহিত করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে একটি বাসযোগে শিবিরের ৪০-৫০ জন ঠাকুরদীঘি বাজারে একটি ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশ করে। এসময় আনিছের ওপর হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে আসিবুল হাসান নামে শিবির কর্মীকে হানেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে ঠাকুরদীঘি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবির সভাপতি নাজমুল সালেহীন বলেন, ‘রাষ্ট্র ও মুসলিম জাতিসত্ত¡ার চেতনাবিরোধী বিকৃত ইতিহাস ও ভিনদেশি অপসংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার ঠাকুরদিঘী বাজারে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে। তবে শান্তিপূর্ণ মিছিল পরবর্তী ১ পথচারী সাধারণ ছাত্রকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জোরারগঞ্জ থানা নিয়ে যায়। বিনা কারণে ১ জন নিরীহ সাধারন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টায় আনিছুর রহমান নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত লেগেছে। ৩ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডান হাতেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, ঝটিকা মিছিল থেকে হামলার ঘটনায় উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আসিবুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের ব্যাপারে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা চলছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন