কেএসআরএম শিপ ইয়ার্ডে পার্লাইট নির্গমণের প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

মানবদেহে প্রবেশ করলে শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। পানিতে মিশলেও নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর এই পাউডার মিশেছে বাতাস ও সাগরের পানিতে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বারআউলিয়া এলাকায় কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ওই শিপ ইয়ার্ডে কাটিংরত একটি এলএনজি ট্যাংকার থেকে এ পার্লাইট নির্গমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, বারঅউলিয়া এলাকায় সম্প্রতি একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আনা হয়েছে কেএসআরএমের মালিকানাধীন শিপ ইয়ার্ডে। বিভিন্ন দেশে এলএনজি গ্যাস পরিবহন করতো জাহাজটি। গ্যাস পরিবহনে জাহাজের ট্যাঙ্কগুলোর সুরক্ষার জন্য দুই স্তরবিশিষ্ট এক ধরনের প্লাইবোর্ডের প্রতিরোধক থাকে; প্লাইবোর্ডের দুই স্তরের মধ্যে এক ধরনের পাউডার থাকে। এগুলোই মূলত পার্লাইট পাউডার। এই পাউডারের কারণে ট্যাঙ্কে থাকা গ্যাস সুরক্ষিত থাকে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্লাইট পাউডার মানবদেহে প্রবেশ করলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগসহ ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকিও রয়েছে। এসব বিষয়ে কোন খেয়ালই নেই ইয়ার্ড মালিকের।

স্থানীয়রা বলছেন, এখন মাছ ধরার মৌসুম চলছে। এসব পাউডার মাছের গায়ে এবং পেটে যাবে। সেই মাছ মানুষ খেলে মারাত্মক সমস্যায় পড়বে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে শিপ ইয়ার্ডটি পরিদর্শণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।