বাঁশখালীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির দায়ে আটক ২

বাঁশখালীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির দায়ে ২জনকে আটক এবং মালামাল জব্দ করেছে প্রশাসন। টিসিবি’র পণ্য ট্রাকে করে বিক্রির নিয়ম থাকলেও তা না করে গভীর রাতে লোকচক্ষুর অন্তরালে বাজার দরে স্থানীয় দোকানে বিক্রি করছিলেন মেসার্স আমান এন্ড ব্রাদার্স বৈলগাঁও বাণীগ্রাম, বাঁশখালী নামে এক ডিলার। উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাও এলাকায় সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেসার্স আমান ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আমান উল্লাহ চৌধুরী অবৈধভাবে এ কাজটি করছিলেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমান উল্লাহ্ বলেন- “মালামাল সরকারি, আমরাও সরকারি মানুষ, আপনারা কারা? আপনারা কিসের সাংবাদিক?”।

এ দিকে খবর পেয়ে অভিযানে সত্যতা পান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. মাহমুদুল হাসান।

বুধবার দিবাগত রাত (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাও এলাকায় রাত ১টার দিকে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারের ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষিত টিসিবির পণ্য অবৈধভাবে ট্রাকে করে বিক্রিয়কালে টিসিবির পণ্যসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দকৃত টিসিবির পণ্যের মধ্য রয়েছে ৬৪০ লিটার সয়াবিন তৈল, ৩২০ কেজি চিনি ও ৬৫০ কেজি ডাল।

এ সময় টিসিবির পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা হয়। মালামালসহ জব্দকৃত ট্রাক বাঁশখালী থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. মাহমুদুল হাসান।

সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেসার্স আমান ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আমান উল্লাহ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন,
“মালামাল সরকারি, আমরাও সরকারি মানুষ, আপনারা কারা? আপনারা কিসের সাংবাদিক?” এ কথা আমি বলিনি। তাছাড়া আমার পরিবারের সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদের সাথে সম্পর্ক ভাল নাই। আমার ডিলারশীপের পন্য দোকানে বিক্রির বিষয়টি আমি অবগত নয়। তাছাড়া ড্রাইভার ও হেলপার কাউকে চিনিনা। আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

আরও পড়ুন