ভাটিয়ারী মিলিটারি একাডেমী থেকে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য সরাতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী মিলিটারি একাডেমীর ভেতরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য সরাতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকাল চারটায় ভাটিয়ারী বাজার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বের হওয়া মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ করে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর মূল ফটকের সামনে আসে। পরে সড়কের দুইপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সেনা কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন এবং তাদের দাবি তুলে ধরেন।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, আজিজুর রহমান আজিজ, নাজিম উদ্দিন, রবিউল হাসান সোহান, সাজ্জাদ হোসেন আসিফ, সাহেদ আকবর পিয়াল, মো ইমরান, ইয়াকুব আলী বাবলু,আরাফাত হোসেন, জয়নাল আবেদিন, শওকত আলী, সাব্বির জাহান সনি, মুরাদ, অপু, খোরশেদ আলম, মামুন, সৌহরাব হোসাইন, ইকবাল হোসেন।

শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল শহীদদের রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু শেখ মুজিব ক্ষমতায় বসে বাকশাল কায়েম করেছিল এবং গণতন্ত্রকে হুমকিতে ফেলে। তার মেয়ে শেখ হাসিনাও বাংলার জনগণের সাতে একই কাজ করে। ক্ষমতা ধরে রাখতে ১৭ বছর ধরে গুম, খুন আর গণহত্যা চালায়। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি আর লুটপাট চালায়। সেই স্বৈরাচারকে আমাদের ছাত্র-জনতা বিদায় করেছে। সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি মিলিটারি একাডেমীতে এখনও স্বৈরাচারের পিতার ছবি রয়ে গেছে। সেটি অবিলম্বে সরাতে হবে। আমরা কিছুতেই এটি এখানে দেখতে চায় না। সেইসাথে সারাদেশে রয়ে যাওয়া বাকশালের চিহ্ন, ছবি কিছুই রাখা যাবেনা।

শিক্ষার্থী রবিউল হাসান সোহান বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য সরাতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। এই স্বৈরাচারের কোন চিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারবে না। হাসিনা আমাদের ছাত্র-জনতাকে গুলি করে মেরেছে। গণহত্যাকারীর ও তার পিতার কিছু ছাত্র সমাজ দেখতে চায় না।

শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে এই দাবি তুলে ধরেছি। মিলিটারি একাডেমীর ভেতরে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নামে যেই বিশাল ভাস্কর্য রয়েছে সেটি অপসারণ করতে হবে। এটাই আমাদের দাবি, ২৪ ঘন্টার সময় দিয়েছি আমরা এটি সরাতে। অন্যথায় ছাত্র সমাজ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।