আনোয়ারায় বসত ঘরের ছাদে ধরা পড়ল বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। একই সাথে আরেকটি সাপকে লাফালাফিও করতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে থানার পশ্চিম পাশে একটি সরু সড়কে সাপটি লাফিয়ে চলে যেতে দেখে মোঃ মামুন(২৫) নামের এক যুবক। এর আগে রবিবার রাত ৮ টায় থানার পেছনে হাজি কলোনীতে ইউসুফ সাওদাগরের ভাড়া বাসার ভেতরে ছাদে সাপ দেখে পরিবারের সদস্যরা মেরে আগুনে পুড়ে ফেলে। বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা পুড়ে ফেলা সেই সাপের ছবি দেখে ধারণা করছে এটা রাসেলস ভাইপার।
ভুক্তভোগী ইউসুফ সওদাগর বলেন, কুরবানের আগের রাতে ৮টায় বাসার ভেতরের ছাদে একটি সাপ দেখতে পেলে পরিবারের সদস্যরা সাপটি মেরে আগুনে পুড়ে ফেলেছি। তখন এই সাপটি যে রাসেলস ভাইপার তা ছিনিনি। দুইএকদিন ধরে পত্রিকা ও সোসাল মিডিয়ায় ছবি দেখে আমরা মেরে ফেলা সাপের ছবি মেলালে দেখি ওই সাপটি ছিল রাসেলস ভাইপার। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই ধরনের আরেকটি সাপ বাসার বাইরে সড়কে আমার ছেলে মামুন দেখতে পেলে চিৎকার করে,তখন আমরা লাঠিসোটা নিয়ে গেলে সাপটি চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, রাসেলস ভাইপারের বিষক্রিয়ার কথা শুনে এখন আমরা আতঙ্কে আছি। ধারনা করা হচ্ছে আরো সাপ থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ছবিটিতে সাপের শরীরের দাগগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা রাসেলস ভাইপার সাপ। তবে রাসেলস ভাইপার আরো মোটা, সরাসরি দেখলে নিশ্চিত হতে পারতাম।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু রাসেলস ভাইপার সাপটি চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে তাই আনোয়ারায় থাকতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।