বাঁশখালীতে ভিজিএফ চাল পেলো ৮৭২৮ জন মৎস্যজীবী

বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞাকালীন সাগরের উপর নির্ভরশীল বাঁশখালী উপজেলার ৮ হাজার ৭শত ২৮ জন তালিকাভুক্ত মৎস্যজীবী প্রথমধাপে ৫৬ কেজী করে ভিজিএফ এর চাল পাবে। এটা ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ উপলক্ষে দেওয়া দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় ধাপে জুলাই মাসে আবারও ৩০ কেজী করে চাল পাবে এ উপজেলার উপকারভোগী মৎস্যজীবীরা। সর্বমোট ৬৫ দিনে প্রতিটি পরিবার ৮৬ কেজী করে চাল পাবেন।

গত ২০ মে থেকে সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ হয়ে তা ২৩ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১৪ টি ইউনিয়নে প্রথমধাপের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। মে মাসের শেষের দিক থেকে শুরু হওয়া চাল বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন ইউনিয়নে চলমান রয়েছে বলেও জানা যায়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রথম ধাপের এ চাল পাবে বাঁশখালী উপজেলাধীন পৌরসভার ৫২০ টি, শীলকূপ ৮০০টি, শেখেরখীল ৭৫০টি, সরল ৭০০টি, সাধনপুর ৩৭০ টি, পুকুরিয়া ১৬০ টি, পুঁইছড়ি ৭৭০টি, খানখানাবাদ ১০০০ টি, কাথরিয়া ১৫০ টি, কালিপুর ২০০ টি, গন্ডামারা ৯৭০ টি, ছনুয়া ১৪০০ টি, বৈলছড়ি ৬০ টি, বাহারছড়া ৬০০ টি, চাম্বলের ২৭৮ টি পরিবার।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলার তালিকাভুক্ত ৮৭২৮ জন উপকারভোগীদের মাঝে প্রথমধাপে ৫৬ কেজী করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে আরো ৩০ কেজি হারে এ চাল পাবে প্রতিটি পরিবার। বিভিন্ন ইউনিয়নে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।’

উল্লেখ্য, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য-সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য চলতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ, বিপণন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন