চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউপির উপ-নির্বাচন ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের মৃত্যুতে পদটি খালি হলে উপ-নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নিয়োগের শিডিউল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া অনেকের মধ্যে মানবিকতা সেবা এবং এলাকায় সম্পৃক্ততার কারণে এ মুহুর্তে প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন এম.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী (করিম ভান্ডারী)। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুঃসময়ের কর্মীদের মধ্যে ত্যাগ আর সততা নিষ্ঠায় তিনি পরীক্ষিত একজন হিসেবে সমাদৃত।
তিনবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জয়ী হতে না পারলেও এলাকার সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থেকে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন এম.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী (করিম ভান্ডারী)। সাধারণত দেখা যায়, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এলাকার মানুষের সাথে প্রার্থীরা যোগাযোগ রাখেন না। কিন্তু করিম ভান্ডারী এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। যুবলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হলেও বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তথা বাঁশখালীর আওয়ামী রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে করিম ভান্ডারীর রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা। রাজনীতির পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে তিনি সাধারণ মানুষের আত্মজন হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছেন।
এদিকে উপনির্বাচনকে সামনে রেখে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা হলেন- এম. বখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ করিম ভান্ডারী, মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী প্রকাশ মুন্সি ইউনুস, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রকাশ খোকন, আনছারুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দেলোয়ার আজিম ও মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন খান।
একাধিকবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা এবং সবসময় এলাকায় যাতায়াত ও মানুষের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় উল্লেখিত আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে করিম ভান্ডারীর অবস্থান অনেকটাই সুসংহত। তিনি ইউনিয়ন তথা পুরো বাঁশখালীতেই পরিচিত মুখ। এবারের নির্বাচনে তিনি তাই শক্ত প্রার্থী হিসেবে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে নির্বাচনী ময়দানে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বলে ভোটারদের অভিমত।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী করিম (প্রঃ করিম ভান্ডারী) বলেন, আমি মৌসুমী রাজনীতিবিদ নই। শুধু জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়াই আমার লক্ষ্য নয়। আমি এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ। চেয়ারম্যান না হলেও আমি কোনোদিন এলাকার সাথে বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। মানুষের দোয়া ও ভালবাসাই আমার কাছে মূখ্য। নির্বাচনে বার বার হারলেও আমি হারিয়ে যায়নি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ মার্চ এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারী, আপিল ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারী, আপিল নিষ্পত্তি: ১৯-২০ ফেব্রুয়ারী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারী, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারী এবং ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১০টি ভোটকেন্দ্রে ৩১ হাজার ২৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।