বাঁশখালীর বহুল আলোচিত-সমালোচিত বিএনপি নেতা ও বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিঃস্কৃত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী (৫২)কে গোপন সংবাদে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ঢাকা ফকিরাপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
প্রসঙ্গত, তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজী, পুলিশের উপর হামলা, দস্যুতা, ভয়ভীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধে ২১টিরও বেশি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাত পৌনে ১১টায় গন্ডামারা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড খাস পাড়ার তার নিজ বসতঘরে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২টি কাটা একনলা বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ (বাহাত্তর) রাউন্ড গুলি, ২৬টি কাতুর্জ, ৫টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি কিরিচ, ৬টি কাঠেরবাটযুক্ত ধারালো রাম দা এবং ৪০টি বিভিন্ন সাইজের গইট্টা (লাঠি) উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুর বাঁশখালী থানার হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ।
উল্লেখ্য, লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, পুলিশ আক্রান্ত, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭২ সালের অনুচ্ছেদ- ৭৩(২খ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ধারাসহ সর্বমোট ২১টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছ।