আনোয়ারায় রাতের আধাঁরে মাটি ফেলে জমি দখলের চেষ্টা : থানায় অভিযোগ
আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের রাজছিলা ফকিরের মাজারের পাশে রাতের আধাঁরে ৪১ বছর পূর্বের ক্রয়কৃত কৃষি জমিতে মাটি ফেলে দখলে চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী জমির মালিক কাজী মো জাকের হোসাইন ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে অভিযুক্তকরে গত ২১ মে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক এলাকার বাসিন্দা মৃত আমির হোসাইনের পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন ১৯৮২ সালে তার ভাই কাজী জাকের হোসাইনের নামে ৭১ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ৪১ বছর ধরে জাকের হোসাইন ও তার ভাইয়েরা ভোগদখল করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে স্থানীয় মৃত যাত্রা মোহন দে এর পুত্র বাবুল কান্তি নম, রঞ্জিত নম, সঞ্জীত নম, পরিমল কান্তি দে এর পুত্র নিপুর কান্তি ও অপুর কান্তি তথ্য গোপন করে ওই জমির নামজারী খতিয়ান সৃজন করে। খবর পেয়ে মুহাম্মদ জাকের হোসন সৃজিত খতিয়ান বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিস মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মিস মামলার খবরে বাবুল কান্তি দে ও নিপুন কান্তি দের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে রাতের আধাঁরে মাটি ভরাট করলে জাকির হোসাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগীতা চাই। পরে আনোয়ারা থানা পুলিশ গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, উক্ত জমি আমরা ৪১ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছি। জমি ক্রয়ের টাকা তাদের পিতা মৃত যাত্রা মোহন দে ও মৃত পরিমল কান্তি দে এর হাতে নিয়েছে। টাকা গ্রহণের স্বীকারোক্তী দলিলে লিকা আছে। এত বছর পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির প্ররোচনায় এই জমি দখলের চেষ্ঠা করছেন তারা। বিষয়টি আমার সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ও গ্রাম আদলতে রিখিত ভাবে জানিয়েছি। ভূমি মন্ত্রী মহোদয়কেও আমরা জানাব।
অভিযুক্ত বাবুল কান্তি নম বলেন, ওই জমি এতো দিন আমার তাদেরকে লাগিয়ত হিসেবে দিয়েছি। তারা আমাদের খাজনা না দিয়ে এখন নিজের জমি দাবী করছে। তাই আমার স্থানীয় আনোয়ারা মিয়া, জসিম উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্য বায়নানামা করে দিয়েছি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা মুহাম্মদ হাসান বলেন, জমি দখলের চেষ্ঠার বিষয় এক পক্ষ অভিযোগ করেছে। আমরা নিয়ে উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।