চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভাধীন ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বহদ্দারপাড়া,বড়ুয়াপাড়া ও মিয়া বাপের বাড়ী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলো রুস্তম মহাজন সড়ক। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাজির খাল। সেই নাজির খালের ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ রুস্তম মহাজন সড়ক। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের তিন পাড়ার প্রায় দশ হাজার মানুষ।
(২৬ সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা ও জানা যায়, রুস্তম মহাজন সড়কটি খায়ের মনজিল সড়কের মাজার গেইট থেকে শুরু করে রায়খালী পুল হয়ে তাহের সওদাগরের পুল হয়ে মীরপাড়া সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে । রুস্তম মহাজনের সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাজির খালের ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে।খালের প্রবল স্রোতে ক্রমাগত ভাঙনে সড়কটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তিন পাড়ার প্রায় দশ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম রুস্তম মহাজন সড়ক। খালের ভাঙনের কারণে ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বহদ্দারপাড়া,বড়ুয়াপাড়া ও মিয়া বাপের বাড়ী এলাকার সাধারণ মানুষ,স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অসুস্হ রোগীসহ পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্হানীয় এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেখছি আমাদের ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের সড়কটির কোন উন্নয়ন হয়নি।খালের ভাঙন ও প্রতিদিন জোয়ারের হাঁটু পরিমাণ পানি থাকে সড়কে। বোয়ালখালী পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে পৌরসভার মেয়র, এমপি সাহেব ও ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলাইমান বাবুল এবং ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহমুদুল হক কোন সময় আমাদের খোঁজ খবর রাখেনি এবং করোনা পরিস্হিতিতে কোন প্রকার সহযোগিতা ও সড়কের জন্য একটি ইট পর্যন্ত দিতে আসেনি। ১৫ বছর আগে আমাদের নিজেদের অর্থায়নে আমরা ইট দিয়েছি সড়কে।আমরা এলাকাবাসীরা বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র,কাউন্সিলর ও এমপি সাহেবের কাছে বার বার আমাদের সড়কের দাবি নিয়ে গিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারে কোনো মাথাব্যথা তাদের নেই।
বোয়ালখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলাইমান বাবুল বলেন,আমি চেষ্টা করেছি সড়কটি মেরামত করার জন্য কিন্তু পৌরসভার কোন প্রকার সাড়া না পাওয়ার কারণে করতে পারেনি।
বোয়ালখালীর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহমুদুল হক বলেন,সড়কটি নিয়ে আমাদের পৌরসভার করার কিছু ছিল না।পৌরসভার বরাদ্দ দিয়ে কোন কাজ হবে না। আমি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমদ এমপিকে বলেছি।আপনারা বোয়ালখালী উপজেলা প্রকৌশলী এর কাজে যান।
বোয়ালখালী উপ-সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃফারুক হোসেন বলেন,রুস্তম মহাজনের সড়কটির জন্য আমরা কিছু করতে পারব না।সড়কটি মেরামতের দায়িত্ব একমাত্র বোয়ালখালী পৌরসভার।পৌরসভা চাইলে এটা উপর মহল থেকে তদবির করে করতে পারে।
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য বিশাল বাজেটের প্রয়োজন।আমার পৌরসভার মেয়াদ শেষ।এখন নবনির্বাচিত মেয়র আসবে তিনি চাইলে সড়কটি করতে পারবে।