নেতা কর্মী নয় আওয়ামী লীগের ভরসা কেবল পুলিশে : ডাঃশাহাদাত

জনগণতো সাথে নেই অনেক আগে থেকেই, এখন নিজ দলের নেতা কর্মীরাও পাশে নেই। একা নিঃসঙ্গ আওয়ামী লীগের ভরসা এখন কেবল পুলিশ,র‌্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। তাদের ওপর ভর করেই ক্ষমতায় টিকে থাকার যে নেশায় মেতেছে এ দেশের জনগন আর তা সফল হতে দিবে না। বিএনপিসহ সরকার বিরোধী দল তথা জনগণকে রুখতে মামলা-হামলা, গুম-খুনের মাধ্যমে নিশ্চিন্ন করার চক্রান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টায় মশগুল এ ফ্যাসিস্ট সরকার। কার্যত পুরো দেশকেই কারাগারে পরিণত করেও স্বস্তিতে নেই তারা। বিএনপি’র কর্মসূচীতে জনগণের অংশগ্রহণ দেখে তারা পাগল প্রায়। এখন তাদের ষড়যন্ত্রের কোন উইংসই আর কাজ করছেনা বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সে‌ন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে কোতোয়ালি থানা যুবদলের আহবায়ক নূর হোসেন নুরুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কোর্ট হিল চত্বরে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, সাংবিধানিক অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই।  ২০১৮ ইং সালে নির্বাচনের পূর্বে যেভাবে আমাদের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, ঠিক সেই ভাবে এখন থেকে গ্রেফতার শুরু করেছে। কোতোয়ালি থানা যুবদলের আহবায়ক নূর হোসেন নূরকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজকের যে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সেই মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না। বাকলিয়া, কোতোয়ালি ও চকবাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে তল্লাশির নামে পুলিশী হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে আর বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া,গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্ত, এডভোকেট তারিক আহমেদ, হাজী নবাব খান, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, যুবদল নেতা ফজল হক সুমন, জিল্লুর রহমান, মোহাম্মদ খোকন, মুজিবুর রহমান, মোঃ হাসান, মোহাম্মদ সরোয়ার উদ্দিন, মোঃ হাসান, মোঃ মুসা, মোঃ মামুন, এফএম রুমি রুম্মান আফরোজ, মোহাম্মদ শাহিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন