সাধ আর সাধ্যের অপূর্ব সমন্বয়ে ‘হারমনি বিল্ডার্স‘ অনন্য

জমি ক্রয় করে নিজস্ব অর্থায়নে বাড়ি করা এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য সাধ্যের বাইরে প্রায়। তাই বর্তমানে বাংলাদশের সাধারণ মানুষজন নিরাপদ ও নিজস্ব আবাসনের লক্ষে জমি থেকেও ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছে বেশি। তাছাড়া রেডি ফ্ল্যাটে গৃহঋণ পাওয়া সহজ এবং এতে ঝুঁকিও কম বলে মনে করেন অনেক ক্রেতারা। কিন্তু বর্তমানে বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জনজীবনে ওঠেছে নাভিশ্বাস। করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ডলারের সাথে টাকার মানের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি ইস্যুতে বেশ খারাপ প্রভাব পড়েছে গৃহনির্মাণ খাতেও। তবুও নিজের একটা ঘর হবে, এই স্বপ্ন প্রতিটা মানুষ তার নিজের মধ্যে লালন করে পথ চলছে এই কঠিন সময়েও।

বিগত কয়েকটি আবাসন মেলা পর্যালোচনায় ও বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে কথা বলে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্রেতার আগ্রহ ‘রেডি‘ মানে তৈরি ফ্ল্যাটে। আর এর চাহিদা নিম্নমধ্য ও মধ্যবিত্ত এবং উচ্চমধ্যবিত্তদের মাঝে বেশি। এই সকল বিষয়কে মাথায় রেখে গুণগত মান ঠিক রেখে আধুনিক, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য আবাসন নির্মাণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান “হারমনি বিল্ডার্স লিমিটেড“

বর্তমান অস্থিতিশীল অবস্থা ও ক্রেতার চাহিদার বিষয়ে আলাপকালে হার্মনি বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউল হক চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারি যতটা না আমাদের ক্ষতি করেছে, তারচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা এই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে। ডলারের বিপরীতে বেড়ে গেছে টাকার মান। তেলের সংকট ও বিদ্যুতের ঘাটতি সব মিলিয়ে এর প্রভাব যেমন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে পড়েছে, ঠিক তেমনি প্রভাব পড়েছে নির্মাণ সামগ্রীর ওপরও। নির্মাণ সামগ্রীর প্রতিটি জিনিসের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। ফলে আমাদের ব্যবসা ও পরিকল্পনায়ও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সাধ্যের কথা চিন্তা করে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের কাজের গুণগত মানে কোনো কম্প্রোমাইজ করি না। কিন্তু জায়গার পরিমাপ অনুযায়ী ফ্ল্যাটের আয়তন আমরা আমাদের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে এমনভাবে নির্মাণ করছি যাতে করে সকল পেশার মানুষই তাদের স্বপ্ন পূরণে কষ্টার্জিত অর্থ আমাদের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারে। কিছুটা মানবিক আর হিসেবী কর্মকৌশল নির্ধারণ করা গেলে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় তেমন কঠিন ব্যাপার নয়। তবে এখানে প্রয়োজন সদিচ্ছার, যেটা আমরা অন্তর থেকেই লালন করি।