চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচুর গ্যাস থাকতে পারে যা আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে। সারা পৃথিবীজুড়ে গ্যাস অনুসন্ধান ক‚পের সফলতার সম্ভাবনা হার প্রায় ২০ শতাংশ থাকে, কিন্তু বাংলাদেশের সেই সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৩৩ শতাংশ। তারপরেও আমরা তা অনুসন্ধান করছি না বরং বিদেশ থেকে আমদানির উপর নির্ভরশীল হয়ে আছি। আমাদের নিজস্ব অনেক খনিজ সম্পদ আছে, আমাদের এই খনিজ সম্পদগুলোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে হবে।”
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে “পেট্রোলিয়াম অয়েল ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ শরীফ হাসনাত। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এর সাবেক জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মানজেরি খোরশেদ আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম। সঞ্চালনা করেন পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব নাদিয়া মেহজাবীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী শক্তি উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পেট্রোলিয়ামের গুরুত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পেট্রোলিয়াম না থাকত আসলে আমাদের দেখা বর্তমান সভ্যতাই হয়তোবা গড়ে উঠত না। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে চাহিদা অনুযায়ী অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিপূর্বক নিরাপদ মজুদ গড়ে তোলা এবং নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়ের সাথে সাথে পিএমই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক গবেষণা ও অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে চুয়েট তথা বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। শিক্ষার্থীরা সঠিক প্রস্তুতি, ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রম করে যদি এগিয়ে যায়, তবে তারা বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সফল হতে পারে বলে আমি মনে করি।