সন্দ্বীপকে নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) এর সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এ নিয়ে দেশে নদীবন্দরের সংখ্যা বেড়ে হলো ৫৪টি। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব ছন্দা পাল দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
প্রথম প্রজ্ঞাপনে সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, সন্দ্বীপ দ্বীপের চারপাশের তীরের সাধারণ ভরাকটালের সময় পানির সর্বোচ্চ সমতল থেকে ভূ-ভাগের দিকে ৫০ মিটার পর্যন্ত অঞ্চল নদীবন্দরের আওতাভুক্ত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণে বিভিন্ন স্থানাঙ্ক উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিম সীমানায় চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ চ্যানেলের ২২°২৪′১৮ দশমিক ৪৫৭৪″ এন থেকে ২২°৩৪′১৪ দশমিক ৫২৯৪″ এন পর্যন্ত বিস্তৃত। পূর্ব সীমানা কুমিরা চ্যানেলে ২২°২৮′৩১ দশমিক ৪১৯৬″ এন থেকে ২২°৩৫′৫০ দশমিক ১২৬৬″ এন পর্যন্ত। উত্তর সীমানা কুমিরা চ্যানেলের ২২°৩৯′০৬ দশমিক ১২৫৪″ এন পর্যন্ত এবং দক্ষিণ সীমানা সন্দ্বীপের ২২°১৯′৩৩ দশমিক ৭২৫৬″ এন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্য প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সন্দ্বীপ উপকূলীয় নদীবন্দরের সংরক্ষক হিসেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নিয়োগ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের ৫৪টি নদীবন্দরের মধ্যে ৪টি বড় নদীবন্দর হলো ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল। এছাড়া ঢাকার পানগাঁও নদীবন্দর দেশের একমাত্র কন্টেইনার টার্মিনাল।