কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধ এবং দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে কয়েকটি সংগঠন যৌথভাবে মানববন্ধন করেছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে চট্টগ্রাম পরিবেশে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্কের নির্বাহী মুজিব উল্ল্যাহ তুষারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, আরকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার, কৃষিবিদ কাজী গোলাম প্রমূখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তৈরিকৃত স্ট্রাটেজিক মাস্টার প্ল্যান ২০১৪ অনুযায়ী বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষা করে কর্ণফুলীর পূণ্য যৌবন ফিরিয়ে আনতে হবে। উচ্চদালতের আদেশ অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, নদীর উভয় তীরে টিকে থাকা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ৫৫৮ প্রকারের গাছ রক্ষা করতে হবে। কর্ণফুলী দিন দিন দখল ও দূষণের কারণে ইতিমধ্যেই ৬৩ প্রকার নদীর মাছ ও প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্ণফুলীর দুই তীরে ৫২৮ প্রজাতির উদ্ভিদ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে আছে। দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ না নিলে আরও ৬১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে যাবে বলে বক্তারা জোর দাবি করেন। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলীর নাব্যতা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, আগামী শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে চাক্তাই খালের মোহনায় লাগাতার ভাবে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হবে বলে মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।