কেন্দ্রজুড়ে সুনসান নিরবতায় ভোটের আগের রাত

রাত পোহালেই ভোট উৎসব। দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মহোৎসব। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও ভোটকে উৎসবমুখর আর অংশগ্রহণমূলক করতে সরকারের প্রচেষ্টার কমতি ছিলোনা। কোথাও কোথাও স্বতন্ত্র আর নৌকা প্রার্থীর মধ্যে চরম উত্তাপ বিরাজ করলেও তা সাধারণ পর্যন্ত পৌঁছেনি বলে বিজ্ঞজনদের অভিমত।

সাধারণত ভোটের আগের রাতে কেন্দ্র ও তার আশেপাশের এলাকা থাকে মুখরিত। আলাপ আড্ডা আর মাঝে মধ্যে পুলিশী বাঁশি শুনে লুকোচুরি কিছুটা আমোদ ছড়ায় ভোটের উত্তাপে। কিন্তু এবার ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা গেছে ভোটের আগের রাতে।

চট্টগ্রামের ভাষায় কেউ কেউ ভোটের আগের রাতকে চাঁদ রাত হিসেবেও অভিহিত করেন। মানে ঈদের আগের রাতে যেমন সবার মাঝে একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে, খুশি আনন্দের জোয়ার বইয়ে যায়, ঠিক তেমনি ভোটের আগের রাতকেও সে আনন্দের সাথে তুলনা করে এমন উপমা দেয়া হয়।

শনিবার (৬ জানুয়ারী) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীরর প্রায় ১৫টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কোথাও কোনো সোরগোল নেই। নেই জনসাধারণের উপস্থিতি। একধরণের ভুতুড়ে পরিবেশও দেখা গেছে কয়েকটি কেন্দ্রে। কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে দেখে বুঝার উপায়ও ছিলোনা যে, সকালে এখানে ভোট উৎসব হবে। পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও কেন্দ্রের বাইরে তেমন একটা দেখা যায়নি। দু/একটা কেন্দ্রে পুলিশের দেখা মিললেও তা সংখ্যায় অতি নগন্য এবং তারাও কিছুটা বিরস বদনে বসে ছিলো।

কয়েকটি কেন্দ্রের আশে পাশে দু/একজন ভোটারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো এরকম নিরবতার কারণ কী ? কেউ বলতে পারছেন না এর প্রকৃত কারণ। তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল না থাকায় উত্তেজনা কিছুটা কম বলেও অনেকে ধারণা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা আর নজরদারিতে ভোট কেন্দ্রের আশে পাশে লোক সমাগত বা জটলা সৃষ্টি হয়নি এবার।

তবে রাত যা-ই হোক, সকালে কেন্দ্রগুলো ভোটারের উপস্থিতিতে সরগরম আর মুখরিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের। রাতের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দিনেও বজায় থাকুক নগরজুড়ে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর। হানাহানি আর মারামারিমুক্ত একটি উৎসবমুখর ভোটের দিনের প্রত্যাশা সচেতন মানুষদের।

আরও পড়ুন