বীর মুক্তিযোদ্ধা নোমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে বিএনপি’র বিজয় র‌্যালী

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নদীর জোয়ার বালির বাঁধ দিয়ে থামানো যায় না। শহীদের রক্তাক্ত সংগ্রামে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, লড়াই করছি। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলনের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে আমরা দেশের জনগণের ক্ষমতা জনগণকেই ফিরিয়ে দিতে চাই। যত বাধা বিপত্তি আসুক, আমরা কাংখিত লক্ষে পৌঁছাতে সফল হবো ইনশাল্লাহ।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এনায়েত বাজার মোড় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের বিজয় র‌্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে মহানগর বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রংবেরঙের সাজে এনায়েত বাজার মোড়ে সমবেত হয়। সেখানে সমাবেশ শেষে আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে এক বিশাল বিজয় র‌্যালী নিয়ে জুবলি রোড, তিন পুলের মাথা হয়ে নিউমার্কেট সংলগ্ন অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

এসময় নোমান বলেন, আমাদের দলের নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে কারাগার ভেঙ্গে আমরা তাকে মুক্ত করবো। আমাদের নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্ত করবো। এ মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে করতে হবে। এ সরকারের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। সরকার ধ্বসে পড়েছে। আমরা জয়ের মুখোমুখি, বিজয় অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, জসিম উদ্দিন শিকদার, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদুল হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাওসার হোসেন বাবু, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, তাঁতীদলের মনিরুজ্জামান টিটু প্রমূখ।

আরও পড়ুন