পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মহানগরে ছয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একযোগে অভিযান

পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রামে সকল উপজেলাসহ মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পাইকারী ও খুচরা বাজারে অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতাই আজ চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মূল্যতালিকা না টানানো ও ক্রয় বিক্রয় চালান দেখাতে না পারায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে।

পেঁয়াজের মূল্য ও মজুদ পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তৌহিদুল ইসলাম আগ্রাবাদ চৌমুহনীর কর্ণফুলী মার্কেটের প্রায় অর্ধশতক দোকান কে সতর্ক করেছেন এবং যাতে ২ কেজির বেশি পেঁয়াজ একজন ক্রেতাকে বিক্রি করা না যায় সে ব্যাপারেও সচেতন করেছেন। এছাড়াও খুচরা পর্যায়ে মূল্য বর্তমান পেঁয়াজের মজুদ অনুযায়ী ১২০ টাকার বেশি যাতে বিক্রি না করে সে মার্কেট কমিটি সকল ব্যবসায়ী কে সতর্ক করেছেন।

অন্যদিকে পাহাড়তলি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হিমাদ্রী খীসা। এ সময় তিনি ০৮ টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো উমর ফারুক ২ নং গেইট সংলগ্ন কর্ণফুলী বাজারে ক্রয় বিক্রয় রসিদ অসংরক্ষণ ও উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ মোতাবেক সাকিব, ফিরোজ স্টোর কে ১০ হাজার এবং আবদুল হাকিম, খাজা স্টোর কে ২০ হাজার সহ সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম চাক্তাই বাজারে অভিযান পরিচালনাকালে ০১ টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম। অভিযানে ০২ টি দোকানে ০৮ হাজার (টাকা) জরিমানা আদায় করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস আরা কাজির দেউড়ি বাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ৩ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় সহ মহানগরীতে সর্বমোট ১৬ টি মামলায় ৬৪ হাজার টাকা অর্থদÐ ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাইকারি বাজারের পাশাপাশি খুচরা বাজারেও মনিটরিং করা হচ্ছে।১৫ টি উপজেলা ও মহানগরে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজার মনিটরিংসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। দাম নিয়ন্ত্রনে না আসা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন