অবরোধের প্রথম দিন হতেই পরিবহন মালিকরা গণপরিবহনে দ্বিগুণ বা বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ১ নভেম্বর ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে পিকেটারদের দ্বারা একটি নূর মোহাম্মদ বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিএনপি-জামায়াত ও জোটের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন ঘনিয়ে আসতেই গতকাল রাত থেকে চট্টগ্রামে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ জানায়, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট সিএন্ডবি ও পুরাতন চাঁদগাও থানা এলাকায় মেট্রো প্রভাতীর দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে নগরীর কর্ণফুলী থানার ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকায় আরেকটি ঘটনা ঘটে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে বাসটি কর্ণফুলী থেকে পটিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পিকেটারদের সামনে দেখে বাসটি ঘুরার চেষ্টা করে। কিন্তু অবরোধকারীরা বাসটি আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসের চালক ও সহকারী সেখান থেকে জীবিত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রথম দিনের তুলনায় চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কিছুটা বেড়েছে। পাবলিক বাসের পাশাপাশি হিউম্যান হলার, টেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহনের চলাচলও বেড়েছে। অবরোধের প্রথম দিন হতেই পরিবহন মালিকরা গণপরিবহনে দ্বিগুণ বা বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
বাস শ্রমিকরা মিনি বাসে উঠার জন্য ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হন অফিসগামী যাত্রীরা।
অক্সিজেন মোড় থেকে অফিসগামী এক যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, আমি নিউমার্কেট যেতে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। এই রুটে মিনি বাসের ভাড়া ১২ টাকা। অবরোধের অজুহাতে যাত্রীদের মুরাদপুর পর্যন্ত নামিয়ে ১০ টাকা দাবি করছে। এই দূরত্ব যা আগে ছিল ৫ টাকা। হেল্পাররা এ বিষয় বলছেন, যে তারা ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালাচ্ছেন, কারণ শহরে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। “তাই তারা কিছু অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।”
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে ১২০০ মিনি বাস, ১৬০০ হিউম্যান হলার ও ২০০টি টেম্পো চলাচল করে। মঙ্গলবার, প্রায় ৮০% যানবাহন শহরে চলে এবং বাকিগুলি অবরোধের প্রথম দিনেই ছিল।