চট্টগ্রামের ফয়েসলেক এলাকায় হোটেলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

চট্টগ্রাম নগরীর ফয়েসলেক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পরিচয় একদল যুবক হানা দিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ডাকাতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা বলা হলেও মূলত এরা ছাত্রলীগের কিশোরগ্যাং হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে ফয়েসলেক এলাকায় ‘মোটেল সিক্স সুপার সনিক’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনাটি ঘটে।

হোটেলে অবস্থানরত চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা এক ব্যক্তি গনমাধ্যমকে জানান, আমার মায়ের চোখের চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম এসেছি। ডাক্তারের সাক্ষাৎ একদিন পর হওয়ায় রাতটা পার করার জন্য মা-বোনকে নিয়ে এ হোটেলে উঠেছি। কিছু লোক আমাদের রুমের দরজায় আঘাত করে। দরজা খুলে দিলে তারা রুমে প্রমে প্রবেশ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

মোটেল সিক্স সুপার সনিকের মালিক মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, বুধবার রাত ১০টার সময় ফয়েসলেকে এলাকার মূল ফটক থেকে আনুমানিক ৪০/৫০ জন লোক মুখে মাস্ক পড়ে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়ে আসে হোটেলের দিকে। হোটেলে প্রবেশ করতে চাইলে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পরিচয় দেয়। আমরা তখন বলি আপনাদের সাথে সেনাবাহিনী অথবা পুলিশ প্রশাসন নিয়ে আসেন তারপর হোটেলে প্রবেশ করেন। তারা আমাদের কোন কথা না শুনে আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করে এবং তারা হোটেলের প্রতিটি রুমে ভাংচুর চালায়। হোটেলে অবস্থানরত কয়েকজন রোগীর ওপর হামলা চালায় এবং সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এলাকার কয়েকজন ছাত্র ভাইদের থেকে আমরা জানতে পারি হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। কেউ এমইএস কলেজের আবার কেউ নওফেল গ্রæপের। এলাকাবাসী বিষয়টা দেখে এগিয়ে আসে। আমরা সবাই মিলে তাদেরকে আটক করি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষনের মধ্যে খুলশী থানা থেকে পুলিশ আসে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ১১ জনকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছেন। মামলার পর অভিযুক্ত অন্যদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।

আরও পড়ুন