রাজধানীতে আগেভাগে পশুরহাটে বেড়েছে দুর্ভোগ

রাজধানীতে প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকটি স্থানে আগেভাগেই পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে করে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ডিএসসিসি সূত্র জানায়, আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৬ থেকে ১০ জুলাই পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে সরেজমিনে দেখা যায়, গত ২৯ জুন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় হাট বসানো হয়েছে। নির্ধারিত জায়গার বাইরেও পশু বেঁধে রাখার জন্য খুঁটি পোতা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাটে আনা হয়েছে অনেক গরু-মহিষ। শনির আখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দনিয়া কলেজসহ আশপাশে অর্ধকিলোমিটার এলাকায় খুঁটি বসানো হয়েছে।
শাহজাহানপুর এলাকাতেও নির্ধারিত জায়গার বাইরেও খুঁটি বসানো হয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব-সংলগ্ন এলাকায় নির্ধারিত স্থানের বাইরে খুঁটি বসিয়েছেন ইজারাদার মোহাম্মদ সোলাইমান সেলিম। ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে পশুর হাট বসানোর কথা থাকলেও এর বাইরে ধূপখোলা মাঠ এলাকাতেও খুঁটি বসিয়েছেন ইজারাদার মো. আনোয়ার। এমনিতেই এ এলাকায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাটে পশু চলে আসায় যানজট তৈরি হয়েছে। ইজারাদাররা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না।
ইজারাদাররা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে হাট বসানোর কারণে একটু বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। বন্যার কারণে অনেক খামারি আগেই হাটে পশু আনতে চেয়েছেন। এ কারণে সময়ের একটু আগেই হাট বসিয়েছেন তারা। এছাড়া, আগে হাট প্রস্তুত না করলে ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা যায় না। কিছু পশু হাটে উঠলেও এখনও বেচাকেনা শুরু হয়নি।
ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে হাটের ইজারাদার মো. আনোয়ার। তার প্রতিনিধি বোরহান হোসেন বলেন, ‘এ হাটে অনেক পশু ওঠে। তাই, একটু বড় পরিসরে হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
শনির আখড়ার দনিয়া কলেজ হাটের ইজাদার যাত্রাবাড়ি থানার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন গেসু।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি শেষ করেছি। জাল টাকা শনাক্তের যন্ত্র বসানো হবে। পশু চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের দেখতে ডাক্তার রাখা হয়েছে। এবার আগের বছরের তুলনায় বিক্রি ভালো হবে বলে আশা করি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেছেন, ‘ঈদের দিন ছাড়া পূর্ববর্তী চার দিন মিলে পাঁচ দিন হাট বসানোর জন্য ইজারা দেওয়া হয়। এ কয়দিনের বাইরে হাট বসানোর সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ের বাইরে যদি হাট বসায় বা নির্ধারিত সীমানার বাইরে যদি হাটের বিস্তৃতি ঘটে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়ম ভঙ্গ করে হাট বসানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে অভিযোগ এসেছে। তা খতিয়ে দেখবে সিটি করেপারেশন।’

আরও পড়ুন